কুড়িগ্রামে প্রাইমারি শিক্ষকের সঙ্গে কলেজ ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক
আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে এক স্কুলশিক্ষকের আপত্তিকর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই শিক্ষকের নাম মোতাহারুল ইসলাম। তিনি রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বেগম মজিদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু পরিষদ দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রী নিজে তার মোবাইলে ভিডিও চালু করে দিয়ে এটি রেকর্ড করেছেন। সাত মিনিটের ভিডিওটির শুরুতে দেখা গেছে ওই ছাত্রী একটি ভাগ্নিকে প্রাইভেট পড়াতে নিয়ে যেতেন ওই কলেজ ছাত্রী। এ থেকে তাদের মাঝে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রী একটি কক্ষে গিয়ে তার মোবাইল ফোনে ভিডিও অপশন চালু করে একটি গোপন জায়গায় রেখে কার্টুন পেপার দিয়ে ঢেকে দেন। এর কয়েক মিনিট পর অভিযুক্ত ওই শিক্ষক এসে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ভিডিওটি অনেকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে শিক্ষক মোতাহারুল ইসলামের বাড়িতে ভাগ্নিকে প্রাইভেট পড়াতে নিয়ে যেতেন ওই কলেজ ছাত্রী। এ থেকে তাদের মাঝে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শিক্ষকের স্ত্রী সন্তান রয়েছে। গোপনে তারা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতো।
বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে শিক্ষকের স্ত্রী জানান, গত জুলাই মাসে ভিডওটি তিনি দেখতে পান। তারপর থেকে স্বামী সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। স্ত্রীর কাছে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বললেও বিয়ের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাকে ও তার দুই মেয়েকে ভরণপোষণও দিচ্ছে না ওই শিক্ষক। এর বিচার দাবি করেছেন তার স্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক মোতাহারুল জানান, ওই ছাত্রীকে তিনি বিয়ে করেছেন। বিষয়টি সমাধান হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানকে ভরণপোষণ না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শাজাহান আলী জানান, ছাত্রীর পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়টি একাধিকবার শালিসে বসা হয়েছিল। কিন্তু সমাধান হয়নি।
এ ব্যাপারে দাঁতভাঙ্গা বেগম মজিদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ভিডিওটির কথা শুনেছি। ছাত্রী অন্য প্রতিষ্ঠানের। তাই আমার কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি মিডিয়ায় আসলে তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।