কুড়িগ্রামে ‘অর্থনৈতিক শুমারির ২০২৪’ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
আগামী ১০ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এই কার্যক্রম চলবে ১৫ দিন।
এবারের শুমারিতে তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পরপর এমন শুমারি করে বিবিএস। ইতোমধ্যেই প্রচারসহ অন্যান্য প্রস্তুতিও শেষ করেছে সংস্থাটি।
০৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) কুড়িগ্রাম পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘অর্থনৈতিক শুমারির ২০২৪’ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪- এর মূল শুমারির তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার গণ উপস্থিত থাকেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয় চার দিনের প্রশিক্ষণের পরবর্তী সময় ১০-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা চলবে ।
জোনাল অফিসার জোন - ২ মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বিবিএসের কর্মকর্তারা প্রতিটি ধাপে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবারের অর্থনৈতিক শুমারি তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার জন্য প্রচার-প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে প্রয়োজনে আরও বৃদ্ধি করা হবে।
এসময় প্রকল্পের উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজ উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আবুল বাসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু আলোচনা করেন। প্রচার ও প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, এবারের অর্থনৈতিক শুমারিতে ৭০ টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ‘ক্যাপি’ পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যেই লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কিছুকার সম্পন্ন করা হয়েছে।
এরমধ্যে শুমারির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা শুমারির সফল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
তিনি জানান, চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা শুমারি সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণ, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে জোনাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ এবং তালিকাকারীদের প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রচার ও অন্যান্য কার্যক্রমও শেষ করা হয়েছে।