![](/assets/images/e-paper-h-1.png)
মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর হাতে নারী নির্যাতন
![মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর হাতে নারী নির্যাতন মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর হাতে নারী নির্যাতন](https://dikdarpon.com/assets/images/news/IMG_20250101_134011.jpg)
স্টাফ রিপোটার:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমের হাতে বিধবা নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে । নির্যাতিত ওই নারী বাদি হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া ২নং ওয়ার্ডে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাইদুল ইসলামের দোকানে বাজার করতে যায় নিলুফা বেগম। সেখানে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা উপস্থিত তার কয়েকজন এবং বিভিন্ন লোকজনের বাজারের দ্রব্যমূল্যের নিয়ে আলোচনাকালে অতিরিক্ত দাম দাবী করে বাংলাদেশের অর্ন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে উপহাস করেন।
এতে নিলুফা বেগম প্রতিবাদ করলে আওয়ামী নেত্রী নিলুফা আক্তারের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা ওই নারীকে মারপিটসহ শ্লীলনতাহানি করে। পরে আহত নিলুফা বেগমকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মারধরের শিকার নিলুফা বেগম বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন।
এনজিও কর্মী প্রত্যক্ষদর্শী সাদেকুজ্জামান সেলিম বলেন, আমি বাড়ি যাওয়ার সময় দোকান পাড়ে ভীর দেখতে পাই। পরে সেখানে দেখি নিলুফাকে টানা হেচড়া করছে। এমতাবস্থায় আমি এবং ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটনসহ তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করাই।
প্রত্যক্ষদর্শী দোকান মালিক সাইদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাজারের দ্রব্যমূল্যের নিয়ে কথাবর্তা হচ্ছিল। এতেই তাদের দুজনের ভিতরে তর্কবির্তক শুরু হয়। একর্যায়ে মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আঞ্জুয়ারা উত্তোজিত হয়।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটন বলেন, আঞ্জুয়ারা বেগম ফকিরপাড়া ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী। এখনো এলাকায় তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তার সামনে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেদিন ওই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমি নিজেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করাই।
অভিযোগের বিষয়ে আঞ্জুয়ারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার সাথে আমি কোন ভাবেই জড়িত নই।এলাকায় খবর নিলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুন্নবী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান আছে। সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।