লালমনিরহাটে সাবেক মন্ত্রীর ৪ ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা
শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার একই এলাকার কলেজ শিক্ষিকা এস তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর মামলাটি করেন। ওই দিন দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হাসান অভিযোগের শুনানির পর এটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির। ওসি জানান, আজ সোমবার পর্যন্ত আদালত থেকে কোনো আদেশ পাননি। তবে আদেশ পেলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার শামসুজ্জামান আহমেদ (৫৫), কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ (৫৬), কালীগঞ্জের কেইউপি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুজ্জামান আহমেদ (৫৭) এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ওয়াহেদুজ্জামান আহমেদ (৫৩)। মামলায় আসামি হিসেবে তাঁরাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০-৫০ জনকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭ আগস্ট বিকেলে কালীগঞ্জের শ্রীখাতা মৌজায় তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর তাঁর জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ করছিলেন। এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা লাঠি, লোহার রড, ছোরা, হকিস্টিকসহ সেখানে গিয়ে নির্মাণশ্রমিকদের কাজ বন্ধ করতে হুমকি-ধামকি দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সীমানাপ্রাচীর ভেঙে নির্মাণসামগ্রী লুটপাট করতে থাকলে মামলার বাদী তাবাসসুম রায়হান তাঁদের বাধা দেন। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর হাতে, পায়ে, পিঠে ও নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করেন।
মামলার বাদী তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর বলেন, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দিই। গতকাল রোববার দুপুরে লালমনিরহাট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক অভিযোগের শুনানির পর এটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে আদেশ দেন।
এ বিষয়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।