এ যেন এক অন্যরকম রমজান
- নেই আশ্রয়, নেই সেহরি-ইফতারের খাবার, এমন রমজান এর আগে কখনো আসেনি ফিলিস্তিনিদের জীবনে
- এবার না খেয়েই রোজা রাখতে হবে গাজাবাসীকে, তবু সৃষ্টিকর্তায় ইবাদত পালনে দৃঢ়প্রত্যয়ী তারা
অনলাইন ডেস্ক:
প্রতি বছরের মতই আবারও ঘুরে এসেছে মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজান। তবে এবার এক অন্যরকম বাস্তবতার মুখোমুখি অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার বাসিন্দারা।
যুগের পর যুগ ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হলেও, এবারের মতো এমন রমজান এর আগে আসেনি ফিলিস্তিনিদের জীবনে। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, সেহরি আর ইফতারে কী খাবেন সেটিও জানা নেই তাদের।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের মাঝেই এবার সিয়াম সাধনা করতে হবে উপত্যকার বাসিন্দাদের। উপত্যকায় এখন খাবার আর পানির জন্য হাহাকার। প্রতিনিয়ত অনাহারে মৃত্যু হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুদের। খাদ্য সংকটে না খেয়েই রোজা রাখতে হবে গাজাবাসীকে। তবু সৃষ্টিকর্তায় ইবাদত পালনে দৃঢ়প্রত্যয়ী তারা।
গাজার উপত্যকার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে বেশিরভাগই বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে তাবুর মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে।
মৌলিক চাহিদা ও খাদ্যের তীব্র সংকটের কষ্ট সত্ত্বেও, রোজার মাসকে ঘিরে আশাবাদী তারা। কেউ কেউ তাদের তাঁবুগুলিকে বাতি এবং রঙ্গিন আলো দিয়ে সাজিয়ে এতো কস্টের মাঝেও একটু আনন্দ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
দুর্ভোগে থাকা গাজাবাসীর আনন্দ খুজার চেষ্টা, রাফাতে একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষের সামনে আলো হাতে এক ফিলিস্তিনি শিশু, গাজার মধ্যাঞ্চল দেইর এল-বালাহে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা একত্রে, রোজাকে ঘিরে গাজা উপত্যকার দেইর এল-বালাহে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের তাঁবুগুলোকে লণ্ঠন দিয়ে সাজিয়েছে, দেইর এল-বালাহ-এর একটি শরণার্থী শিবিরে রোজা উপলক্ষ্যে শিশুদের সাজসজ্জা, যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত শরণার্থী শিবিরগুলোতে অল্পের মাঝেই হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা শিশুদের, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে রোজার তাঁবু প্রস্তুত করছেন ফিলিস্তিনি নারী।