
কুড়িগ্রামে 'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ কমিটির সংবাদ সম্মেলন

আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই' এই স্লোগানে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানির নায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রয়ারি) বেলা তিনটায় কুড়িগ্রাম পৌর শহরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব,সাবেক বড় বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লব,সাংবাদিক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইয়েদ বাবু সহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা জানান, চলতি মাসের ১৭-১৮ ফেব্রয়ারি তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দুই দিন ব্যাপী লাগাতার কর্মসুচি পালিত হবে। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন। এই দু'দিন রংপুর বিভাগের তিস্তা পাড়ের ১০টি স্পষ্টে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
তারা আরও বলেন, তিস্তা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। তিস্তা নদী ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর দৈর্ঘ্য ১১৫ কিলোমিটার। দুপাড় প্রায় ২৩০ কিলোমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তিস্তা নদীর ৪৫ কিলোমিটার ভাঙন প্রবণ। এর মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং রংপুর জেলার কয়েক লাখ কৃষক প্রতিবছর বন্যা এবং খড়ায় কৃষিতে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখীন হয়ে আসছে।