গোলাম আজমের ছেলে আমান আযমী ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত
দীর্ঘ আট বছর পর ‘আয়নাঘর’ থেকে মু্ক্ত হলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আয়নাঘর হলো একটি গোপন বন্দিশালার নাম যা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স, বাংলাদেশের (ডিজিএফআই) প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা দ্বারা পরিচালিত হয়। ২০২২ সালে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চেভেলে ‘আয়নাঘর’ নামে এই গোপন বন্দিশালা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই পোস্টে বলা হয়, আমিরে জামায়াত অধ্যাপক গোলাম আযম রাহিমাহুল্লাহর সুযোগ্য সন্তান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (সাবেক) আব্দুল্লাহিল আমান-আল আযমী ফিরে এসেছেন। আল্লাহ তায়ালা যেন সব গুমকৃতদের আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে আটক করা হয়। সে সময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বড় মগবাজারের বাসা থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পরে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে থেকে আটকের বিষয়টি একাধিকবার দাবি করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।
অন্য দিকে দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর খোঁজ মিলেছে দলটির সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের। মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়, আলহামদুলিল্লাহ! শহীদ মীর কাসেম আলী রাহিমাহুল্লাহ এর সুযোগ্য সন্তান ব্যারিস্টার আহমাদ বিন কাসেম (আরমান) ফিরে এসেছেন। আল্লাহ তায়ালা যেন সকল গুমকৃতদের আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
২০১৬ সালের ৯ আগস্ট ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাশেম আরমানকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মিরপুর ডিওএইচএস’র নিজ বাসা থেকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।